কোভিড-১৯ | করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি বিশ্ব মহামারীতে পরিনত হয়েছে। এই ওয়েব পেজে করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য, করনীয় এবং এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা নিয়ে নিয়মিত নীতি বিশ্লেষণ তুলে ধরা হবে।

PAGE Under Construction.

আক্রান্তের বর্তমান পরিস্থিতি
বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত: Country 'Bangladesh' is invalid.

বাংলাদেশে মোট মৃত্যু: Country 'Bangladesh' is invalid.

বাংলাদেশে মোট আরোগ্যলাভ: Country 'Bangladesh' is invalid.

আইআইডি কিভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

জনসচেতনতামূলক ভিডিও
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও দমন

কীভাবে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, আর কেন এই কোয়ারিন্টিন?

Posted by বিভূঁই: প্রবাসের জন্য প্রবাসী on Monday, March 30, 2020
আপনার জিজ্ঞাসা

– করোনা ভাইরাস হ’ল শত শত ভাইরাসের একটি পরিবার যার কারণে সাধারণ জ্বর থেকে এমইআরএস (মিডল ইস্ট রেস্পিটরি সিন্ড্রোম) এবং সার্সের (সিভিয়র একিউট রেস্পিটরি সিন্ড্রোম)  মতো মারাত্মক শ্বাস প্রশ্বাসজনিত অসুস্থতা হতে পারে। করোনভাইরাস রোগ কোভিড -১৯ এর কারণ হলো সম্প্রতি আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস যাকে নভেল করোনা ভাইরাস বলা হচ্ছে।

– নভেল শব্দটি পূর্ব পরিচিত ভাইরাসের একটি নতুন প্যাথোজেনকে নির্দেশ করে। আইসিটিভি এই নতুন ভাইরাসের আনুষ্ঠানিক নাম হিসাবে সারস-কোভ-২ বা সিভিয়র একিউট রেস্পিটরি সিন্ড্রোম করোনা ভাইরাস ২ ঘোষণা করেছে। এই নামটি বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ 2003 সালে সারস প্রাদুর্ভাবের জন্য দ্বায়ী ভাইরাসটি জিনগতভাবে এই করোনভাইরাসের সাথে সম্পর্কিত।

– কোভিড-১৯ (COVID-19) হ’ল এমন একটি রোগ যা প্রথমবার চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস বা নভেল করোনাভাইরাস (সারস-কোভ -২/ SARS-CoV-2 ) এর নতুন স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিল যেখানে ‘CO’ করোনা, ‘VI’ ভাইরাসের জন্য এবং ‘D’ রয়েছে রোগের জন্য। নামটি এমনভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে যেন এটি কোনও ভৌগলিক অবস্থান, প্রাণী, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না এবং একইসাথে নামটি সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং রোগের সাথে সম্পর্কিত।

– কোয়ারিন্টিন এর মাধ্যমে সেইসব মানুষদেরকে পর্যবেক্ষনের উদ্দেশ্যে আলাদা রাখা হয় এবং চলাচল সীমিত করা হয় যারা ছোঁয়াচে রোগাক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে এসেছে এবং রোগাক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে আর আইসোলেশন এর মাধ্যমে ছোঁয়াচে রোগাক্রান্ত মানুষকে সুস্থ মানুষ থেকে আলাদা রাখা হয়।

– মহামারী এমন একটি রোগ যা একটি সম্প্রদায়, জনগোষ্ঠী বা অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক লোককে প্রভাবিত করে। অন্যদিকে, বৈশ্বিক মহামারী এমন এক মহামারী যা একাধিক দেশ বা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্ষেপে, বৈশ্বিক মহামারী একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী।

– স্থানীয় সংক্রমণের মাধ্যমে, ভাইরাসটি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এমন কোনও ব্যক্তির মাধ্যমে যার সম্প্রতি ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে, অথবা যিনি ইতিমধ্যে সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন।স্থানীয় সংক্রমণ ঠেকাতে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের চিহ্নিত করা, ভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা বা সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে চলতে হয়। অন্যদিকে, ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ’ সেই পরিস্থিতিকে বলা যায় যখন কোনও অঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক মানুষের মাঝে সংক্রমণের উৎস সনাক্ত করা যায় না কারণ আক্রান্ত ব্যক্তিরা ভাইরাস আক্রান্ত কোনও দেশে সম্প্রতি ভ্রমণের বা অন্য নিশ্চিত ভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির সংসপর্শে আসা ছাড়াই ভাইরাস সংক্রমনের স্বীকার হয়।

– ইনকিউবেশন পিরিয়ড বলতে প্রথম লক্ষণগুলির সংক্রমণ এবং উপস্থিতি নিশ্চিত হবার মাঝের সময়কে বোঝায়। বেশিরভাগক্ষেত্রে  কোভিড-১৯/ COVID-19 এর ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১-১৪ দিন এর মাঝে হয়। অনেকক্ষেত্রেই ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৫ দিন দেখা যায়।

– কোভিড-১৯ (COVID-19) এর ফলে শুষ্ক কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, ব্যথা, বদ্ধ নাক, সর্দি, গলা ব্যাথা এবং কখনও কখনও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল (ডায়রিয়া বা পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি) ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। গুরুতর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট হয়।

– ঘ্রাণশক্তি হারানো চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘অ্যানোসিমিয়া’ নামে পরিচিত যা COVID-19 এর একটি লক্ষণ হতে পারে। আবার, অ্যালার্জির বা অন্যান্য ভাইরাসগুলির কারণেও ঘ্রাণশক্তি হারাতে পারে যা থেকে সাধারণ সর্দি হয়। সুতরাং, শুধুমাত্র ঘ্রাণশক্তি হারানোর অর্থ এই নয় যে কেউ কোভিড -১৯ আক্রান্ত।

– COVID-19/ কোভিড -১৯ এবং সাধারণ ফ্লু (common flu) এর লক্ষণগুলি সাধারণত একই থাকে। তাই ভাইরাসের ধরণ নির্ধারণের জন্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষা না করে পার্থক্য করা সম্ভব নয়। তবে, কেউ যদি জ্বর (≥ ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট), গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তবে তার COVID-19 আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

– করোনা ভাইরাসগুলি পরিবেশের  তাপমাত্রা, আর্দ্রতা বা জিনিষের ধরণের উপর নির্ভর করে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

– জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট এর গবেষণা অনুসারে করোনভাইরাস তিন (03) ঘন্টা অবধি বাতাসে থাকতে পারে।

– সরাসরি সংস্পর্শ এমন ব্যক্তি যিনি ভাইরাসজনিত রোগে নিশ্চিতভাবে বা সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মুখোমুখি ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে (যে কোনও স্থানে) বা একটি বদ্ধ স্থানে একইসাথে ছিলেন (আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে লক্ষণগুলি উপস্থিত হওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে সহ)।